ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড, দেখে নিন সূচি

Image
বাংলাদেশে তিনটি ওয়ানডে ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে আসছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিসিবির একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করলেও বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিক সূচি প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ২২ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখবে আইরিশ নারী দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ঢাকায় চারদিনের প্রস্তুতির সময় থাকবে তাদের জন্য। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ২৭ নভেম্বর মিরপুরে। একই ভেন্যুতে ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী দুটি ওয়ানডে ম্যাচ। এরপর দু’দল সিলেটে পাড়ি জমাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৫ ডিসেম্বর। ৭ ও ৯ ডিসেম্বর বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সিরিজ। এই সিরিজটি বাংলাদেশ নারী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে এই সিরিজে জয় পেতে চায় তারা।

বাংলাদেশকে চিরবিদায় বলে দিয়ে অন্য দেশের হয়ে মাঠ মাতাবেন সাকিব




কানপুরে ভারত বনাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে বড়সড় বোমা ফাটিয়েছেন শাকিব আল হাসান । সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন যে আর দেশের হয়ে টেস্ট ও টি-২০ ম্যাচ খেলবেন না তিনি। 



বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর পারফর্ম্যান্সে, ভুগছেন চোখের সমস্যায়, আঙুলের চোটের কারণে বোলিং করতে পারছেন না টানা-এমন হাজারো অভিযোগ উঠেছিলো শাকিব’কে নিয়ে। সেরা সময় যে পেরিয়ে এসেছেন তা হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন শাকিব স্বয়ং। তাই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারকে য়ার লম্বা করলেন না অহেতুক। 



আপাতত টেস্ট ও টি-২০ থেকে সরে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তবে ওয়ান ডে’তেও তাঁর স্থায়িত্ব যে বেশীদিন নয়, তা বোঝা গিয়েছে শরীরী ভাষায়। তিম বাংলাদেশকে বিদায় জানিয়ে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন, ঘোষণা করেছেন তারকা অলরাউন্ডার।



কানপুরে ম্যাচ শুরুর আগে শাকিব সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন যে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান তিনি। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল নয় বাংলাদেশে। ফলে সিরিজ আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 



পূর্বতন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লীগের সাংসদ ছিলেন শাকিব , তাই একটা বড় অংশের মানুষের চোখে রাতারাতি ভিলেন হয়ে উঠেছেন তিনি। একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে খুনে প্ররোচনা দেওয়ার মামলাও রজু হয়েছে আদালতে। এই মুহূর্তে দেশে ফেরা যে কঠিন হতে পারে তাঁর জন্য, তাও জানেন শাকিব আল হাসান। ফলে কানপুরের এই ম্যাচটিই যে আদতে তাঁর শেষ টেস্ট হতে পারে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার।


বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার জানান, “আমি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য উপলব্ধ। কিন্তু যেহেতু দেশে এখন অনেক কিছু ঘটছে, সেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টি আমার হাতে নেই। 



আমি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আমার পরিকল্পনাগুলো বিসিবি’র সাথে আলোচনা করেছি। আমি ফারুখ (আহমেদ) ভাই ও নির্বাচকদের সাথে কথা বলেছি। যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে মীরপুরেই হবে আমার শেষ টেস্ট ম্যাচ। 


বোর্ড চেষ্টা করছে যাতে আমি নিরাপদে খেলতে পারি, একইসাথে যাতে কোনো সমস্যা ছাড়াই দেশ’ও ছাড়তে পারি।” যদিও শাকিব’কে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া যে সম্ভব নয় তা পরে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। “কাউকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা বোর্ডের হাতে নেই,” বলেছেন বিসিবি প্রধান ফারুখ আহমেদ।



টেস্টের পাশাপাশি টি-২০ ক্রিকেট থেকেও আপাতত অবসরই নিচ্ছেন, ঘোষণা করেছেন শাকিব আল হাসান । সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ তারকা বলেন, “টি-২০তেও অনেকটা একই রকম আমার ভাবনা। 


আমি নির্বাচক, বোর্ড সভাপতি’র সাথে কথা বলেছি। আমি মনে করি যে এটাই আমার টি-২০ থেকে সরে দাঁড়ানোর সেরা সময়। আগামী কিছু সিরিজে নতুন মুখেরা জায়গা পাক।” তবে কৌশলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-২০’র তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী।



 “যদি আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে ভালো খেলি আর বিসিবি মনে করে টি-২০তে আমার দলকে কিছু দেওয়ার আছে আর আমি যদি তখন ফিট থাকি, তাহলে ভেবে দেখা যাবে। এই মুহূর্তে আমি নিজেকে টি-২০তে দেখছি না। তাই বলাই যায় যে আমি দুটো ফর্ম্যাটে দাঁড়ি টানছি।”


আন্তর্জাতিক টেস্ট ও টি-২০ থেকে সরে দাঁড়ালেও বাইশ গজকে পুরোপুরি যে বিদায় শাকিব জানাচ্ছেন না তা স্পষ্ট তাঁর বক্তব্য থেকেই। আপাতত কিছু দিনের বিশ্রামের পরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়ায় ফিরতে পারেন তিনি। ভারতের আইপিএল , ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল , আমেরিকার মেজর লীগ ক্রিকেটের মত টুর্নামেন্টে নিয়মিত তিনি। আগামীতে সেই প্রতিযোগিতাগুলোতেই প্রধান ফোকাস রাখতে চলেছেন তিনি। 


এই মুহূর্তে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। হতে পারে গ্রেপ্তারও। ফলত দেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপাতত বসবাস করতে পারেন শাকিব। 


২০২২ সালে মার্কিন মুলুকে পাকাপাকি বসবাস করার জন্য গ্রিন কার্ড পেয়েছেন ক্রিকেট তারকা। তাই সপরিবারে বিদেশে গিয়ে থিতু হতে বিশেষ সমস্যা হবে না তাঁর।

Comments

Popular posts from this blog

সবাইকে কান্নায় ভাসিয়ে এই বয়সেই হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মিরাজ

ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন রিশাদ